সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমি আশা করি, উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। দিবসটি উপলক্ষে তিনি প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর, আর্থিক সাশ্রয়ী ও সময়োপযোগী প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং দক্ষ সিভিল সার্ভিস। বাংলাদেশের সিভিল প্রশাসন সরকারের নির্বাহী অঙ্গ হিসেবে দেশের জনগণের সেবা ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সিভিল সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জনগণের নিকট সহজে ও দ্রুত সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞানের প্রয়োগ, বিভিন্ন সেক্টরে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।’
বর্তমান সরকার সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে স্বল্প-দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে উরেøখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তৃতীয়বারের মতো জনপ্রশাসন পদক প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ১২৩ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি। এ পুরস্কার প্রবর্তনের ফলে সরকারি সকল কর্মচারী আগামী দিনগুলোতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করবেন এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের আরো দক্ষ ও কর্ম উপযোগী করে গড়ে তুলবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।