প্রাণের ৭১

হারিয়ে যাচ্ছে শীল – পাটা

এই লাগবে..শীল পাটা, ধার কাটা…।” অদ্ভুৎ এক সুর ও ছন্দের সাথে পরিচয় নাই এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। গ্রামে-গঞ্জে-শহরে এই ডাক কানে আসে। সাইকেলে অথবা পায়ে হেঁটে লোকালয়ে শ্রম ফেরী করে বেড়ায় এসব শ্রম-শিল্পীরা।

 

কাটনিওয়ালা কতো স্বাভাবিক ভঙ্গিতে পাটার পাথরটি খোদাই করে চলতো। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো পাটার গা মাছের আঁশের মতো রূপ ধারণ করে ফেলেন তারা।

 

রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে যেকোন বাটা বা বাটনার ক্ষেত্রে এ ‘শীল-পাটার ব্যবহার ছিল গ্রাম্যঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরেও। আদা, রসুন, পেয়াজ, লবঙ্গ, এলাচ, দালচিনি (দারুচিনি), গরম মসলা, সরিষাসহ সকল মসলা ও ঘেটকলসহ বিভিন্ন সবজিও বাটার জন্য ‘শীল ও পাটায় হাত বুলাতে হতো। আধুনিকতার ছোয়ায় ব্যালেন্ডার মেশিনের

ব্যাবহার বেরে যাওয়ায় শীল পাটার ব্যাবহার কমেই যাচ্ছে ।

 

তবে কালের বিবর্তনে যতই মিলিয়ে যাক না কেন এগুলো ধরে রাখারও চেষ্টাও থাকবে অনেকের। এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*