হারিয়ে যাচ্ছে শীল – পাটা
এই লাগবে..শীল পাটা, ধার কাটা…।” অদ্ভুৎ এক সুর ও ছন্দের সাথে পরিচয় নাই এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। গ্রামে-গঞ্জে-শহরে এই ডাক কানে আসে। সাইকেলে অথবা পায়ে হেঁটে লোকালয়ে শ্রম ফেরী করে বেড়ায় এসব শ্রম-শিল্পীরা।
কাটনিওয়ালা কতো স্বাভাবিক ভঙ্গিতে পাটার পাথরটি খোদাই করে চলতো। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো পাটার গা মাছের আঁশের মতো রূপ ধারণ করে ফেলেন তারা।
রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে যেকোন বাটা বা বাটনার ক্ষেত্রে এ ‘শীল-পাটার ব্যবহার ছিল গ্রাম্যঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরেও। আদা, রসুন, পেয়াজ, লবঙ্গ, এলাচ, দালচিনি (দারুচিনি), গরম মসলা, সরিষাসহ সকল মসলা ও ঘেটকলসহ বিভিন্ন সবজিও বাটার জন্য ‘শীল ও পাটায় হাত বুলাতে হতো। আধুনিকতার ছোয়ায় ব্যালেন্ডার মেশিনের
ব্যাবহার বেরে যাওয়ায় শীল পাটার ব্যাবহার কমেই যাচ্ছে ।
তবে কালের বিবর্তনে যতই মিলিয়ে যাক না কেন এগুলো ধরে রাখারও চেষ্টাও থাকবে অনেকের। এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।