প্রাণের ৭১

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী অবহেলিত পরিবার,স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থাগার

 ১০ ডিসেম্বর। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিনের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী । নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষ স্মরণ করছেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। স্বাধীনতার ৪৬ বছরের মধ্যে এ বীরের নামে নির্মিত গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মিত হলেও বর্তমানে সেটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে যে লক্ষ্যে এ বীরের নামাকরণে এসব স্থাপনা করা হয়েছে তা ধীরে ধীরে গুরুত¦ হারিয়ে  ম্লান হয়ে যাওয়ার অভিযোগ স্থাণীয় এলাকাবাসী ও স্বজনদের।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাগপাচড়া গ্রামে ১৯৩৪ সালে রুহুল আমিনের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের  গোটা সময় তিনি জীবন বাজি রেখে লড়েছেন   শত্রুদের বিরুদ্ধে। চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৬ দিন পূর্বে এ দিনে খুলনার রুপসায় শাহাদাত বরণ করেন এ বীরযোদ্ধা। তার সম্মানে সরকার বাগপাচড়া গ্রামকে রুহুল আমিন নগর নামে নামকরণ করেন।  এছাড়া এ বীরের অবদানকে স্মরনীয় করে রাখার লক্ষ্যে  তার জন্মস্থানে ২০০৮  সালে শহীদ মো: রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর স্থাপন করা হয়।  কিন্তু যে লক্ষ্য নিয়ে এ গ্রন্থাগার  ও স্মৃতি জাদুঘর করা হয়েছে সেটি সঠিকভাবে তত্ববধায়ন না করার কারনে আস্তে আস্তে সেটি ম্লান হয়ে যাওয়ার পথে। স্থাণীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ নিয়মিত এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর খোলা রাখা হয় না এবং পরিচর্যা করা হয় না। লাইব্রেরীতে নতুৃন নতুন বই সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি পত্রিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে গত চার বছর ধরে।

এদিকে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনের গ্রামের বাড়িতে  দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা দালান নির্মান করে দেয়া হয় । বীরশ্রেষ্ঠের পুত্রবধু রাবেয়া বেগম বলেন,এ বাড়িতেই স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তান নিয়ে থাকেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী। ভবনটি বসবাস অযোগ্য হয়ে হয়ে পড়ে আছে অনেক আগেই। বৃষ্টি হলেই ছাদ বেয়ে পানিতে তলিয়ে যায় ঘরের মেঝে। নৌ বাহিনীর লোকজন এসে ঘরটি দেখে যায় এবং নতুন করে নির্মানের আশ্বাস দেয়। দ্রুত ঘরটি নির্মান করা না হলে বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়বে।

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হলে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের দেহবশেষ খুলনার রুপসা নদীর পাড় থেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে এসে সমাধিস্থ করাসহ তাঁর নামকারনে স্থাপনাগুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধানে দাবি স্থাণীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল পূর্বপশ্চিমকে বলেন , বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে নানা অব্যবস্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে এবং তা দ্রুত সময়ে নিরসন কল্পে নৌবাহিনীসহ উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*