স্কুলছাত্র জনির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, পাঁচ প্রতিবেশি আটক
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও গগডা আটকান্দিয়া গ্রামের ছোবান মিয়ার ছেলে জনি মিয়া (১১) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনে প্রতিবেশী ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রবিবার ও গতকাল সোমবার দু’দিন ধরেই ওই আটক ব্যক্তিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
আটককৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার গগডা আটকান্দিয়া গ্রামের মৃত সাহেদ আলীর ছেলে মাজু মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, বাবুল মিয়া ও মৃত আবু তালিবের ছেলে সাহাব উদ্দিন এবং রহিছ উদ্দিন।
আটকদের সঙ্গে নিহত জনি মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। জনির পিতা আব্দুস ছোবান ও মা মেহেরা আক্তার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই হয়ত তারা আমার জনিকে হত্যা করে থাকতে পারে।
গতকাল সোমবার দুপুরে কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে যাদের আনা হয়েছে তাদেরকে আটক করা হয়নি। রহস্য উদঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে উল্লেখ করে ওসি আরো জানান, নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজের দু’দিন পর রবিবার দুপুরে একই গ্রামের আব্দুল বারেকের বাড়ির সামনের একটি পুকুর থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জনি মিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।