মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যান পরিষদের ৯দফা দাবী মানতে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছে৷
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কেন্দ্রীয় কল্যান পরিষদের ৯দফা দাবী উত্থাপন৷৷
রুহুল আমিন মজুমদার৷৷
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ পরিষদ -এর কেন্দ্রীয় কমান্ড।
সংগঠনের চেয়ারম্যান খোন্দকার মোজাম্মেল হক এবং মহাসচিব আবু তাহের সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান কার্তিক চ্যাটার্জি, জাফর ইকবাল, তরুণ তপন চক্রবর্তী, যুগ্ম মহাসচিব মাইনুল হক ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন, মীর হোসেন ফারায়েজী বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, মন্ত্রিসভার আজকের সিদ্ধান্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। কোটা বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশাসন গড়ে তোলার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সাধারণ ছাত্র নামধারী কিছু দিকভ্রান্ত যুবককের দাবি মেনে নিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী এই সুপারিশের ফলে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন, দাবিগুলো হলো- ১। জাতির জনক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ২। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন করতে হবে।
৩। ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে তা বাস্তবায়নে কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে কোটা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চলমান সবনিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কোটার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
৪। ১৯৭২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্য পদগুলোতে চলতি বছরেই নিয়োগ দিতে হবে।
৫। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন প্রবাসী সরকারের প্রথম সেনাবাহিনী, তাই তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে পেনশন, বোনাস, রেশনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের সব চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে এবং স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৭। ঢাবি ভিসির বাসভবনে হামলাসহ দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী স্বঘোষিত রাজাকারদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং
৮। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্য সবার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে দিতে হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দাবি মেনে নিয়ে সরকারি ঘোষনা দেয়ার দাবি জানানো হয়।