সেন্টমার্টিন দ্বীপকে মিয়ানমারের অংশ হিসাবে দেখানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ.
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ লুইন ও-কে ডেকে পাঠিয়ে সেদেশের একটি মানচিত্রে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপকে মিয়ানমারের অংশ হিসাবে দেখানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাসস’কে বলেন, ‘মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে মানচিত্রের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করে এই অসত্য দাবির ব্যাপারে নেইপিডোর তরিৎ ব্যাখ্যা দাবি করা হয়।’
ব্রিটিশ শাসনামল থেকে অদ্যবধি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কখনোই বার্মা অথবা মিয়ানমারের অংশ ছিলনা এবং ‘এখন পর্যন্ত কখনোই এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে কোন বিতর্ক হয়নি’ উল্লেখ করে তিনি জানান, এই মানচিত্র অংকনের ব্যাপারে মিয়ানমারের কোন দুরভিসন্ধি রয়েছে।
কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) এম. খুরশেদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ লুইন ও-কে ডেকে পাঠান এবং তিনি বলেন, বার্মা যখন স্বাধীনতা লাভ করে তখন সেন্টমার্টিন দ্বীপ তৎকালিন অবিভক্ত ভারতবর্ষের অংশ হয়েছিল।
রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) এম. খুরশেদ আলমকে উদ্ধৃত করে ওই কর্মকর্তা জানান, খুরশেদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলেন ‘১৯৪৭ সালে দেশভাগ তথা স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্বাভাবিকভাবেই তৎকালিন পাকিস্তানের অংশে পরিণত হয়। এবং পরে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় দ্বীপটি অবসম্ভাবীভাবে আমাদের দেশের অংশে পরিণত হয়।’
কর্মকর্তা জানান, সচিব এম. খুরশেদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে স্মরণ করিয়ে দেন ২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে বাংলাদেশের বিজয় ‘পুনরায় নিশ্চিত করেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ’।
সম্প্রতি দুইটি বৈশ্বিক ওয়েবসাইটে মিয়ানমার দেশটির যে মানচিত্র আপলোড করেছে তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের সমুদ্রসীমার অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে।