যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ‘অমর্যাদাকর’ তল্লাশি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ‘অমর্যাদাকর’ নিরাপত্তা তল্লাশির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সামরিক সহযোগিতার অবনতির মধ্যে এই অভিযোগ ওঠার পর পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোতে আব্বাসির তীব্র সমালোচনা চলছে।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবন্দরে আব্বাসিকে নিয়মিত নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এ ঘটনাকে ‘অমর্যাদাকর’ হিসেবে তুলে ধরেছে। এমন একটি সময়ে অভিযোগটি পাওয়া গেল, যখন ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তান সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা বন্ধসহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে। এর মধ্যে গত সোমবার আবারও দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির বার্তা দিয়ে ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সাতটি কম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, পরমাণু বাণিজ্যের সঙ্গে এ কম্পানিগুলোর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে দুই দিন ধরে একটি ফুটেজ প্রচারিত হচ্ছে, তাতে দেখা যায়, আব্বাসি তাঁর ব্যাগ ও কোট হাতে নিয়ে একটি নিরাপত্তা তল্লাশি অতিক্রম করছেন। গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এটি যুক্তরাষ্ট্রেরই বিমানবন্দর।
পাকিস্তানের জিয়ো টিভির খবরে বলা হয়, অসুস্থ বোনকে দেখতে ব্যক্তিগত সফরে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি। বিমানবন্দরে নেমে অন্য সব যাত্রীর মতো সাধারণ নিরাপত্তা প্রটোকলের মধ্যে পড়েন সরলতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত আব্বাসি। আবার ওই সফরেই তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেঠকে পেন্স বলেন, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে পাকিস্তানের আরো বেশি কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে।
এই অবস্থায় সফরটিকে ব্যক্তিগত বলা হলেও পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো আব্বাসির সমালোচনা করছে। গণমাধ্যমগুলো কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকার পরও এভাবে নিরাপত্তা তল্লাশিকে জাতির প্রধান ব্যক্তির জন্য অমর্যাদাকর বলে অভিহিত করেছে।
এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি এক টিভি উপস্থাপক বলেন, ‘ব্যক্তিগত সফরের কথা বলায় তাঁর লজ্জিত হওয়া উচিত। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি