ডা. জাফরুল্লাহর মন্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রতিবাদ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ সেনাবহিনী এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, ‘চাকুরিরত একজন সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির এরূপ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য’ বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত যা সেনাবাহনিী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টা মর্মে স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান।’
আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর আজ পাঠানো এই প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয় ‘ডা. জাফরুল্লাহর উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য কেবলমাত্র সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদ-এর সুনাম ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুণœ করেনি, বরং তা সেনাবাহিনী প্রধানের পদকে চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। যা প্রকারান্তরে চাকুরিরত সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের মনোবলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া এরূপ অপপ্রচার সেনাবাহিনীর মতো সুশৃংখল বাহিনীর সংহতি ও একতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে যা অনাকাংক্ষিত।’
গত ৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সময় টেলিভিশনে রাত ১০টায় প্রচারিত টকশো ‘সম্পাদকীয়’তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিন্মোক্ত বক্তব্য্য প্রদান করেন:
‘… দেখেন আরজেএস গ্রেনেড, আমি জানি না সময়টি মিলে কিনা- আমাদের বর্তমান চিফ অব আর্মি আজিজ, সাবেক চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ট ছিলেন, জিওসি ছিলেন, কমান্ড্যান্ট ছিলেন। তার ওখান থেকে একটা ব্যাপকসংখ্যক সমরাস্ত্র, গোলাগুলি চুরি হয়ে গেছিল, হারিয়ে গেছিল, বিক্রি হয়ে গেছিল এবং এজন্য একটা কোর্ট মার্শালও হয়েছিল, আজিজের নামে, জেনারেল আজিজের নামে কোর্ট মার্শালও হয়েছিল। আজকে উনি…., কিন্তু উনার কেন এসেছে, উনি হলেন ওভার অল, উনি নিশ্চয়ই এখনতো ওখান থেকে এবং আমরা আরো দেখছি মিরপুরে সম্প্রতি কয়েক বাক্স পুকুরের মধ্যে পাওয়া গেছে, এ সবগুলি আমাদের ব্যর্থতা…।’
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আমমেদ চাকুরি জীবনে কখনোই চট্টগ্রামের জিওসি বা কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন না। তিনি সেপ্টেম্বর ২০১০ হতে জুন ২০১১ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, জুন ২০১১ হতে মে ২০১২ পর্যন্ত ঢাকায় মিরপুরে ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার এবং মে ২০১২ হতে ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণিত সময়ে চট্টগ্রাম বা কুমিল্লা সেনানিবাসে কোন সমরাস্ত্র বা গোলাবারুদ চুরি বা হারানোর কোন ঘটনা ঘটেনি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তার দীর্ঘ বর্ণাঢ্য সামরিক চাকুরি জীবনে কখনোই কোর্ট মার্শালের সম্মুখীন হননি।