আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন রফিক: মিস আয়ারল্যান্ড প্রিয়তি
#me_Too মুভমেন্টে যোগ দিলেন সাবেক আয়ারল্যান্ড ও মিস আর্থ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। জানালেন তার যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা।
এই লোকটি তার অফিসে হঠাৎ করে টেবিল থেকে উঠে এসে আমার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে আমার বক্ষে চাপ দেয়, ২০১৫ সালের মে মাসে তাদের প্রোডাক্ট প্রমেক্স এর বিজ্ঞাপন এর পেমেন্ট আনতে গিয়ে (এই পেমেন্ট যদিও আমি পাইনি)।’
উপরের কথাগুলো আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী মডেল মাকসুদা আখতার প্রিয়তি এর। তিনি আয়ারল্যান্ডের সাবেক মিজ আয়ারল্যান্ডের খেতাবজয়ী। ২০১৪ সালে ৭০০ প্রতিযোগীকে হারিয়ে ‘মিজ আয়ারল্যান্ড’ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মেয়ে প্রিয়তি। শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়া মহাদেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় একমাত্র প্রতিযোগী ছিলেন তিনি।
৩০ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে ২০১৫ সালের একটি ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি যার সাথে ঘটেছিল তিনি রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। একটা ছবি দিয়ে তাকে ‘প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী’ উল্লেখ করে প্রিয়তি লিখেছেন- ‘এই লোকটির নাম রফিকুল ইসলাম, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ডান হাত। এই পোস্টের পর হয়তো আমার নামে মানহানির মামলা হবে, না হয় বলবে অসৎ উদ্দেশ্য আছে আমার ইত্যাদি ইত্যাদি।’
এরপর থেকে শুরু হয় তোলপাড়। ঘটনার বর্ননায় দিয়ে দেয়া স্ট্যাটাসে চোখ পড়ে রফিকুল ইসলাম রফিকের। এরপরই মাকসুদা আখতার প্রিয়তি এর আইডিতে সমস্যা হতে থাকে। মঙ্গলবার বিকালে সেসব লিখে আরেকটা স্ট্যাটাস দেন প্রিয়তি। তিনি সেখানে লেখেন, ‘রংধনু গ্রুপের ওয়েবসাইট অলরেডি ওরা Disabled করে ফেলেছে। আমার জীবনের যদি কোন ক্ষতি হয় অর্থাৎ প্রানহানী করার ঘটনা ঘটে তাহলে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম দায়ী থাকবেন। কারন তিনি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন তিন বছর আগেই, এমনকি আয়ারল্যান্ডে এসেও আমাকে মেরে ফেলা তার জন্য নাকি দুই পয়সার ব্যাপার।’
ফেসবুকে দেওয়া প্রিয়তির স্টেটমেন্ট
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1932293560184140&id=100002105454071
প্রিয়তির ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা থেকে