প্রাণের ৭১

রাজাকারের তালিকা প্রকাশের দাবি।

একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ ও তাদের নাগরিক অধিকার সংকোচনসহ রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন গৌরব’৭১ এর আয়োজনে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে প্রতিটি আন্দোলনে জামায়াত এদেশের বিরোধীতা করেছে। আজ পর্যন্ত তাদের সেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ঐক্য হয় আদর্শের দ্বারা। কিন্তু যে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলো তাতে কোনো আদর্শ আছে বলে মনে হয় না। এই ঐক্য হলো ক্ষমতায় যাওয়ার ঐক্য।

ড. কামালের উদ্দেশ্যে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আপনি ১৯৭২ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা। আর সেই সংবিধানে লেখা আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা। তাহলে আপনি এখন কেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের সাথে ঐক্য করলেন?

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, যারা বাংলাদেশ চায় নাই, তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের পরিবারের ভোটাধিকারও নিষিদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী রাজাকারদের বাড়িগুলোতে আলাদা রং দেওয়া উচিত। যাতে সাধারণ মানুষ সেই রং দেখে তাদের দিকে ঘৃণার চোখে তাকায়।

আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, ১৯৭১ সালে যারা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনদের নির্যাতন করেছে তাদেরকে কেন স্বাধীনদেশে নাগরিক সুযোগ –সুবিধা দেবে? তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

গৌরব-৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ, তাদের নাগরিক সুবিধা সংকুচিতসহ তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে কোনো রাজাকার প্রার্থী আসলে রাজপথে তাদের প্রতিহত করাও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সমাবেশে গৌরব-৭১-এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্যাহ, গৌরব-৭১ এর উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদ সদস্য সানজিদা খানম এমপি, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদারসহ অনেকে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*