পাকিস্তান পারছে ,বাংলাদেশ পারেনাই- তসলিমা নাসরিন
‘বাংলাদেশ যা পারল না, পাকিস্তান সেটাই করে দেখাল। ’ পাকিস্তানে ধর্মাবমাননার মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পাওয়া আসিয়া বিবির ইস্যুতে এমনটাই মন্তব্য করলেন নির্বাসিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
গত কয়েকদিন ধরেই আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে ধর্মাবমাননার মামলা খারিজ নিয়ে উত্তপ্ত পাকিস্তান। আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ড বাতিল হওয়াতেই আগুন জ্বলে ওঠে পাকিস্তানে। এই সংখ্যালঘু পাকিস্তানি নারীর ফাঁসির সাজা কমিয়ে দেয় ইমরান খানের সরকার।
এই প্রসঙ্গেই তসলিমা একটি ট্যুইট করেছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘১৯৯০-এর দশকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশ আমাকে মারতে উদ্যত হয়েছিল। আমাকে দেশ থেকে বের কের দেওয়া হয়েছিল। আর কোনোদিন ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পাকিস্তান অন্তত ধর্মবিদ্বেষের মামলায় আসিয়া বিবিকে মুক্তি তো দিয়েছে। নিরাপত্তাও দিচ্ছে।
বাংলাদেশ যা পারেনি, সেটাই করল পাকিস্তান। ’
ইসলামের নবী মোহাম্মদকে (সা.) অবমাননার অভিযোগে আসিয়া বিবিকে ২০১০ সালে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়ার সময় তিনি এই অবমাননা করেন বলে অভিযোগ। তবে আসিয়া বিবি সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে থাকেন। তাঁকে বন্দি করা হয়।
গত বুধবার আসিয়া বিবির সাজা কমিয়ে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় আসিয়ার সাজা কম হওয়ার পরেই পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলো ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগের জন্য কঠোর সাজার পক্ষে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা আইনটি ঘিরে প্রবল বিতর্ক রয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা দাবি করেন, এই আইনের বলে সংখ্যাগুরুরা অত্যাচার চালান। অভিযোগ, আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে ঠুনকো প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছে। আদালতে যখন রায় ঘোষণা করা হয়, তখন আসিয়া বিবি সেখানে ছিলেন না। কারাগারে যখন তার কাছে এই খবর এসে পৌঁছায়, তিনি তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।