প্রাণের ৭১

ট্রেনে চড়ে কিমের রাজকীয় চীন সফর

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সপ্তাহে ট্রেনে করে বেইজিং গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দুই দেশ। তবে এ ট্রেনটির ঐতিহাসিক সফর মোটেই সাধারণ ছিল না।

সারা বিশ্বের নেতারা যখন আকাশ পথকেই যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন তখন উত্তর কোরিয়ার নেতা ট্রেন ব্যবহার করলেন। তবে শুধু কিমই নন, কিমের বাবা কিম জং টু এবং তার দাদাও হুবহু একই ধরনের ট্রেন ব্যবহার করে বিদেশ সফর করতেন। তবে সেটি একই ট্রেন নাকি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ট্রেনটি ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত এবং বিলাসবহুল। এতে কনফারেন্স কক্ষ, মন্ত্রীসভাদের নিয়ে দরবার করার মতো ব্যবস্থা ও বেডরুম। এছাড়া সেখানে যোগাযোগের জন্য অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ফোন ও বড় স্ক্রিনের টিভি সংযুক্ত ছিল। ছিল মুখরোচক রান্নার আয়োজনও।

ভারী নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংযুক্ত করায় ট্রেনটির গতি কম ছিল। উত্তর কোরিয়া থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ট্রেনটি বেইজিংয়ে পৌঁছায়। এ সময় ট্রেনে চীনা কর্মকর্তারা ওঠেন এবং বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে প্রাথমিকভাবে ট্রেনটির সফরের কথা গণমাধ্যমকে প্রকাশ করা হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের নেতারা ব্যবহার করেন এমন একটি ট্রেন যখন বেইজিংয়ে দেখা যায়, তখন থেকেই এ নিয়ে গুজব শুরু হয়।  কিন্তু দুই দেশের কেউই তখন বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

পরবর্তীতে উত্তর কোরিয়ার নেতা সেই ট্রেনে বসে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন এমন ছবি প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি তার সফরসঙ্গীদের নিয়েও সেই বিলাসবহুল ট্রেনে অনেকটা রাজসভার আদলে সভা করেছেন এমন ছবিও পাওয়া গেছে।

চীনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া জানাচ্ছে, মি. কিম বেইজিংয়ে গিলে চীনের নেতা শি জিন পিং এর সঙ্গে ‘সফল আলোচনা’ করেছেন।

এ সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য আলোচনার প্রস্তুতি এই সফরেই এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এই ট্রেনে করেই মি. কিম গত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের বিদেশ সফরে গেলেন, যা দেশটির সঙ্গে সারা বিশ্বের অচলাবস্থা কাটানোর উদ্যোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*