দেশের মাটি স্পর্শ করলো নতুন বিমান ‘হংসবলাকা’
দেশে পৌঁছেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে এভারেট থেকে যাত্রা শুরু করে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে শনিবার( ১ নভেম্বর) রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে পৌঁছায়। শনিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় উড্ডয়ন করে এই আকাশযান। তার আগে লাল ফিতা কেটে নতুন ড্রিমলাইনারের যাত্রার উদ্বোধন হয়। এর মধ্য দিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি।
হংসবলাকার বিজি ২১১২ ফ্লাইট পরিচালনা করছেন চার পাইলট স্মল স্কি, মো. আমিনুল, শোয়েব চৌধুরী ও ফার্স্ট অফিসার আনিতা রহমান। বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘণ্টা চালিয়ে এই ড্রিমলাইনার নিয়ে আসছেন তারা। ফ্লাইট পার্সার শবনম কাদিরসহ কেবিন ক্রু হিসেবে দায়িত্বে আছেন পাঁচজন।
যুক্তরাষ্ট্রে সিয়াটলের এভারেটে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ২৯ নভেম্বর সকালে চাবি দিয়ে হংসবলাকার মালিকানা হস্তান্তর করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল এটি বুঝে নেন। এ সময় ছিলেন বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্ট্রাক্ট) জন বর্বার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া) এহসান রাজপুত। বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি বিমান। বাকি চারটি হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর মধ্যে ‘আকাশবীনা’ গত ১৯ আগস্ট দেশে আসে। চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো ‘আকাশবীণা’, ‘হংসবলাকা’, ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’।
ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা মোট ২৭১টি। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক বিশ্রামের জন্য সহায়ক।