‘যখনই সুযোগ এলো তখনই ক্যান্সার ধরা পড়ল’
এখনই অবসর নয়; আরও এক বছর খেলতে চাই। ২০১৯ সালে অবসর নিয়ে ভাবব। বললেন ভারতীয় হার্ডহিটার যুবরাজ সিং।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে ব্রাত্য। ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলই এখন লড়াইয়ের মঞ্চ। বয়স হয়ে গেছে ৩৬। তো এ পর্যায়ে এসে ভবিষ্যৎ নিয়ে কী পরিকল্পনা?
জবাবে তিনি বলেন, এখন আমার সব মনোযোগ আইপিএলে। এতে ভালো করতে মরিয়া আমি। এটি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে চাই। এ জন্য এটিই বড় মঞ্চ। পরে অবসর নিয়ে ভাবব।
এবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএল মাতাবেন যুবি। এ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই মাল্টি মিলিয়ন ডলারে এ টুর্নামেন্টে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। ক্রিকেটের জন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে চান আরও কিছু দিন।
ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন যুবরাজ। জাতীয় দলের জার্সি পরে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন তিনি। মোনাকোর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ক্যারিয়ারের প্রথম ৬-৭ বছর আমি সেরা ফর্মে ছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যবশত তখনও টেস্ট দলে ডাক পাইনি। ওই সময় ছিলেন একঝাঁক সুপারস্টার। আর যখন সুযোগ এলো তখন আমার ক্যান্সার ধরা পড়ল। এ যন্ত্রণাটা আমাকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এখন আমার চাওয়া- যেটুকু বাকি আছে, সেটুকু খেলে যেতে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদেরই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছে ভারত। সেখানে বিরাট কোহালির নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুবরাজ- ভারত দেখিয়ে দিয়েছে। টেস্ট সিরিজ হারের পর কামব্যাকটা দুর্দান্ত ছিল। দলের খেলোয়াড়রা বুঝিয়েছে তারা কঠোর পরিশ্রমী ও সৎ। এতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। তার অধিনায়কত্বে আমি মুগ্ধ।’
প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের নাকাল করা দুই স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল ও কুলদীপ যাদবের স্তুতিও গান এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, তারা ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এতেই আমাদের আধিপত্য বোঝা যায়।
সামনে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সফর করবে ভারত। এ দুই সফরকে ক্রিকেটারদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলছেন যুবরাজ। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের পর অন্তত ক্রিকেটাররা এখন বিশ্বাস করবে; তারাও বিদেশে জিততে পারে। এ দল সর্বজয়ী হওয়ার মতো। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে হলে একযোগে সবাইকে ধারাবাহিক পারফরম করতে হবে।