আইএসআই ও জামাত বিএনপির যোগাযোগ জাতীর জন্য উদ্বেগ জনক- শাহরিয়ার কবির
আইএসআই এর সঙ্গে জামায়াত নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগের খবর প্রায়ই আসছে গণমাধ্যমে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি জামায়াতের জন্য নতুন না হলেও নির্বাচন সামনে রেখে এ যোগাযোগ উদ্বেগজনক। আইএসআই-এর অর্থায়নে নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার শঙ্কা জানালেন অনেকে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের ঘনিষ্ঠতা সাম্প্রতিক সময় বাড়ার বিষয়টি কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসআই এজেন্টরা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে জেদ্দায় বৈঠক করেছেন। দুবাইয়ে আরেকটি বৈঠকে যেকোন মূল্যে বিএনপির সঙ্গে জোট টিকিয়ে রাখার আশ্বাস দেন শফিকুর রহমান। দুবাইয়ে অবস্থানরত আইএসআই এজেন্ট শহীদ মেহমুদ জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশিদ বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে থাকতে জামায়াতের শেষ সুযোগ আগামী নির্বাচন। সেজন্য যে কোনোভাবে আইএসআই এর সহযোগিতা পেতে চায় তারা। তিনি আরো বলেন, জামায়াতকে পাকিস্তান মনে করে তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু। জামায়াত যদি রাজনৈতিক স্পেস হারিয়ে ফেলে তাহলে এই অপশক্তি আর ব্যবহার করতে পারবেনা। বিএনপি জামায়াতকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। আগামী নির্বাচনে আমরা সেই কৌশলই দেখছি।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে আইএসআই যোগাযোগ নতুন নয়। তবে নির্বাচনে আইএসআইএর আর্থিক সহায়তায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করবে জামায়াত। তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত যদি বুঝতে পারে নির্বাচনে জিততে পারবেনা, তবে যেকোন ধরনের সহিংসতার পথ বেছে নিতে পারে তারা। এই ব্যাপারেই আমরা উদ্বিগ্ন এবং এই কথাগুলোই আমরা সারাদেশের মানুষকে বলার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদূদীর পুত্র হায়দার ফারুক মওদূদী লাহোরে মওদূদের বাসায় বলছেন, জামায়াত কিভাবে কখন থেকে আইএস এর কাছ থেকে টাকা নেয়। ’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে আরও জানা যায়, আইএসআইয়ের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা জাভেদ মেহেদী জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বিএনপিকে বলেছেন ভবিষ্যতে আরো বড় খেলার জন্য এ জোট টিকিয়ে রাখা জরুরী
#সময়টিভি