নির্বাচনী সহিংসতায় ব্রাশ ফায়ারে খাগড়াছড়িতে ২ জন খুন
খাগড়াছড়িতে ব্রাশফায়ারে দুই জন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন লোগাংয়ের বাসিন্দা চা দোকানি শীখ্য চাকমা (৩২) ও নির্মাণ শ্রমিক চট্টগ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানা (৩০)। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর বিরোধের জেরে সোমবার পানছড়ি উপজেলার পুজগাং বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুরে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী পুজগাঙ এলাকায় ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী নতুন কুমার চাকমার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয়। এরপর তারা পুজগাঙ বাজারে হামলা চালায়। পরিস্থিতি দেখে বাজারের ব্যবসায়ী শীখ্য চাকমা দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শীখ্য চাকমা নিহত হন।
পাশে রাস্তায় কাজ করছিল সোহেল রানা নামে এক শ্রমিক। সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনিও নিহত হন। সোহেলের বাড়ি চট্টগ্রামের দোহাজারিতে। তিনি দোহাজারি এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির মোহাম্মদ মান্নানের ছেলে।
ইউপিডিএফের মুখপাত্র মাইকেল চাকমার অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফের সিংহ প্রতীকের প্রার্থী নতুন কুমার চাকমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ব্রাশফায়ারে দুইজন নিহত হয়েছেন। সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতেই সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার জন্য তিনি আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (এমএন লারমা)-কে দায়ী করেছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন জেএসএসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য প্রচার ও সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা। তিনি বলেছেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। আমরা কেন হামলা করব। এটা মিথ্যা অভিযোগ। এটি তাদের অন্তর্কোন্দল হতে পারে।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত দু’জনের মধ্যে একজন উপজাতি। আরেকজন নির্মাণ শ্রমিক।’