মানবাধিকার কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল জারি
মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সাতজন বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে ২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় কেন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি সে ব্যাপারে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে ব্যারিস্টার হালিম জানান, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পরের দিন একটি জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্টের পরে চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মানবাধিকার কমিশনে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়। পরে মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করে দেখতে পান, ঘটনার পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন এবং খেতে না দেয়ায় পুষ্টিহীনতার তথ্য দেয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নিয়ে সব তথ্য গোপন করে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে মানবাধিকার কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র সচিবকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেয়া হয়। এরপর ২০১৮ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার কমিশন ১৮ বার তাগিদপত্রও পাঠায়। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
‘এ অবস্থায় মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার লংঘনের বিষয়টি চিহ্নিত করতে পারলেও কোনো প্রতিকার দিতে পারেননি’, বলেন রিটের পক্ষের আইনজীবী।
তিনি জানান, সরকার ব্যবস্থা না নিলে মানবাধিকার কমিশন হাইকোর্টে রিট করতে, সচিবকে তলব করতে পারতেন, কিন্তু এগুলো করেনি। এ কারণে রিট করা হয়। আর এই রিটের শুনানি নিয়ে রুল ও অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন আদালত।