১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন হইছে, মুক্তিতে বাধা রইলো না।
মানহানির অভিযোগে দায়ের ১৫টি মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর ফলে তার মুক্তির বাধা কাটল বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ মইনুলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা।
আদেশের পর মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে করা ১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখনও একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও তিনটি মামলা বিচারিক প্রক্রিয়ায় না থাকায় এসব মামলায় তার জামিনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এক নারী সাংবাদিককে করা মন্তব্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন ওই সাংবাদিক।
এছাড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে আরও কয়েকটি মামলা হয়।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।