ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ইমামের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকার জেলার সাভারের আশুলিয়ায় আব্দুল আল মামুন নামের মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে ৯ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিকাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সোমবার সকালে আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রী দোসাইদ এলাকায় বাবা মার সাথে ভাড়া থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতেন।
এছাড়া পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল আল মামুনের কাছে মক্তব পড়তেন ওই ছাত্রী। সকালে মক্তব পড়া শেষে ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মসজিদের ইমাম নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এরই মধ্যে দোসাইদ এলাকার কিছু নামধারী দালাল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। খবর পেয়ে রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্যাতিতা শিশুকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
আশুলিয়ার থানার এসআই ফুলমিয়া খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঘরে কোনো লোক না থাকায় মোবাইলে শিক্ষার্থীর নগ্ন ছবি ধারণ করে আব্দুলল্লাহ আল মামুন। ওই নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের ছবি আব্দুল্লাহ আল মামুন মোবাইলে ধারণ করে।
আর ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মামুনের সহযোগী জালাল মাদবর। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটি বাবা হাসান শেখ বাদী হয়ে আশুলিয়ার থানার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
নির্যাতিতা মেয়ের মা লিপি আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম দিকে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্য ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ধর্ষণকারীকে আটক ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন এলাকার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Bd-pratidin