প্রাণের ৭১

নিখোঁজের মিথ্যা গল্প সাজিয়েছিলেন ইডেন ছাত্রী বিন্দু!

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে পথ হারিয়ে নিখোঁজ হওয়ার মিথ্যা গল্প সাজিয়েছিলেন ৩৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া ইডেন কলেজের বিবিএস’র ছাত্রী নাফিজা নেওয়াজ বিন্দু। মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে বান্ধবীর বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।

নিখোঁজ হওয়ার ৩৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে নূরজাহান রোডের একটি বাসা থেকে পুলিশি অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়া বলেন, বিন্দু তার মায়ের সাথে রাগ করে বান্ধবীর বাসায় ছিলেন। পরে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তাকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার করেছি। বর্তমানে বিন্দু সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয় বিন্দু। পরে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ট্রেনে উঠেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উত্তরা স্টেশনে নামতে পারেননি বিন্দু।

বিকেলের দিকে বিন্দু তার মাকে শেষ বারের মতো ফোন দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন ‘মা আমি উত্তরা স্টেশন মিস করে ফেলছি। এখন ট্রেন কোথায় আছে জায়গাটা চিনতে পারছি না। পরের স্টেশন এলে নেমে বাস ধরে যাবো।’

এরপর অনেকবার ফোন করলে নাফিসার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। উদ্বিগ্ন পরিবার শেষ পর্যন্ত বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-২৪৬) করে।

ইডেন কলেজের ছাত্রী বিন্দুকে উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয়া যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল বড়াল বলেন, আসলে পরিবারের সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝির কারণে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে এই মিথ্যা নাটক সাজান বিন্দু।

এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে তথ্য অনুযায়ী বিন্দু কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়েছিলেন কিন্তু রাজশাহীগামী কোনো ট্রেনে উঠেন নি এবং উত্তরাও যান নি। তিনি কমলাপুর থেকে সরাসরি মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে তার বান্ধবীর বাসায় চলে যান।

কমল বড়াল আরো বলেন, বিন্দুর পরিবারের জিডি করার প্রেক্ষিতে আমাদের একাধিক টিম তাকে উদ্ধারে কাজ করছিল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিন্দুর মোহাম্মদপুরে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশসহ আমরা অভিযান চালাই এবং নূরজাহান রোডের একটি বাসায় বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*