ডিগ্রিধারী ডাক্তার ছাড়া সিজার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
ভুয়া ডাক্তার ও ভুঁইফোড় ক্লিনিকের সংখ্যা দেশে বেড়েই চলছে। ডাক্তার ছাড়া সিজারিয়ান করার ঘটনাও অপ্রতুল নয়। রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ধরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া দুই বছরেও গ্র্যাজুয়েট অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদ সৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরদারি বৃদ্ধি এবং নিবন্ধিত ও ডিগ্রিধারী ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ সিজার করলে তাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করার জন্যও সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার (১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কমিটির সভাপতি সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ভুয়া ডাক্তারের বিচার নিশ্চিত করাসহ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডাক্তার ছাড়া সিজারিয়ান বন্ধে কী করা হয়েছে, তা জানতে চান।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুয়া ডাক্তার ও ভুঁইফোড় ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া মহিলাদের ডেলিভারির ক্ষেত্রে সিজারিয়ান কমিয়ে আনতে নানা কর্মসূচি চলমান আছে।
সংসদ সচিবালয় জানায়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কমিটির সুপারিশের আলোকে অটিজম ও স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসার্থে গ্র্যাজুয়েট অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদ সৃষ্টির প্রস্তাব এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য আটকে আছে।
সংসদীয় কমিটি এ সময় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত কার্যকর করার সুপারিশ করেন।