প্রাণের ৭১

সারাদেশে বর্ণিল রঙে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা বর্ষবরণ

ঐতিহ্যবাহী নানা অনুষ্ঠান আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের বৈশাখের আগমনী রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ সুরের মূর্ছনায় শুরু বৈশাখী উৎসবের।

সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ নতুন বাংলা বছর ১৪২৬ প্রত্যাশায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা ঐতিহ্যবাহী উৎসব আর আনন্দের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছে।

ছয় শতাধিক বছর আগে বাংলা বছর চালুর পর থেকেই পহেলা বৈশাখ পালন বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।

মুঘল সম্রাট আকবর তৎকালীন সুবে বাংলা থেকে জমির খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা সন চালু করেন।

পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটির দিন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং দেশবাসীসহ সারাবিশ্বের বাংলাভাষীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বছরের এ দিনে দেশের ব্যবসায়ীরা নতুন হালখাতা খোলেন এবং গ্রাহক ও অতিথিদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়িত করেন।

দেশের সর্ববৃহৎ এ সাংস্কৃতিক উৎসবের দিনে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ লাল-সাদা পোশাক পরে রাস্তায় নেমে আসেন। উৎসবের আয়োজন হিসেবে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা বের করেন মঙ্গল শোভাযাত্রা।

বাঙালির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি অনুসারে দেশবাসী এ দিনে বাড়ি, রেস্টুরেন্ট বা মেলায় ইলিশ, কাঁচা মরিচ ও পেয়াজ দিয়ে পান্তাভাত খান।

এদিকে, নির্বিঘ্নে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অনুষ্ঠানস্থলে কেউ মুখোশ পরতে এবং ভুভুজেলা বাজাতে পারবেন না। মঙ্গল শোভাযাত্রা পুলিশ ঘিরে রাখবে এবং ভবনের ছাদ থেকে নজরদারি চালানো হবে।unb






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*