শাহবাগে নাগরিক অবস্থান নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় জড়িত প্রত্যেককে এবং তাদের মদদদাতাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক নাগরিক অবস্থান থেকে শুক্রবার বিকালে এ দাবি জানান তারা। ঘোষণা দিয়েছেন এ দাবিতে শিগগিরই রোডমার্চ করারও।
কর্মসূচিতে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকেও গ্রেফতার এবং পুলিশের ভূমিকার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি ওঠে। তারা অভিযোগ করেন, ওসি মোয়াজ্জেম ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিনকে বাঁচাতে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশ তৎপর রয়েছে।
‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোট’ ও ‘সমাজের জাগ্রত নাগরিক গোষ্ঠী’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার্থী জোটের আহ্বায়ক শিবলী হাসান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও সোনিয়া আমিন, প্রগতিশীল আন্দোলন কর্মী আকরামুল হক, ব্যবসায়ী আইরিন রাব্বানী, সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী সানজিদা কাজী প্রমুখ। এ অবস্থানে সংহতি প্রকাশ করে সচেতন নাগরিক গোষ্ঠী, নিজেরা করি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ধর্মের নামে নারীকে নিগৃহীত করা পুরনো ব্যাপার।
আজকে তার সঙ্গে যখন রাজনৈতিক ক্ষমতা যোগ হয় তখন তা অদম্য হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে অপরাধী প্রিন্সিপাল সিরাজের যে সখ্য- তা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের তৃণমূলের একটা বড় অংশের যোগসাজশ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তির কাছ থেকে আমরা এ ভূমিকা প্রত্যাশা করি না।
অধ্যাপক সোনিয়া আমিন বলেন, প্রশাসনের ভেতরে থাকা ধর্ষক খুনিদের আশ্রয়দাতাদের খুঁজে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচারহীনতার রাষ্ট্র থেকে উত্তরণের জন্য আইনের শাসন সুনিশ্চিত করতে হবে। আকরামুল হক বলেন, এক-দু’জন সদস্যের কারণে পুরো পুলিশ প্রশাসনের বদনাম কখনও কাম্য নয়।
শিবলী হাসান বলেন, ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ওসি মোয়াজ্জেমকে রক্ষায় যে চিঠি দিয়েছেন তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণে এটা স্পষ্ট যে, এ হত্যাকাণ্ডটি সুপরিকল্পিত এবং অনেক অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা এখনও চলছে। তাই যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোট এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। আমরা শিগগিরই ঢাকা-সেনাগাজী রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করব।