ফ্রান্সে শিশুদের মারধোর করতে পারবেন না বাবা-মা
ফ্রান্সে শিশুদের মারধোর ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে একটি বিল পাস করতে যাচ্ছে দেশটির পার্লামেন্ট। এতে করে বাবা-মা শিশুদের গায়ে হাত তুলতে পারবেন না। দিতে পারবেন না কোনও মানসিক শাস্তিও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন আচরণ জাতিসংঘ কর্তৃক নিন্দিত হলেও দেশটিতে অহরহ ঘটছে। বিলটি পাস হয়ে গেলে বিশ্বের ৫৫তম দেশ হিসেবে শিশুদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স। মঙ্গলবার সিনেটে চূড়ান্ত ভোটের ওপর নির্ভর করছে এই বিলের ভবিষ্যৎ।
সিভিল কোডে লেখা এই বিলটি বিয়ের সময় স্বামী-স্ত্রীকে এটি পড়ে শোনানো হবে। তাদেরকে বলা হবে, কোনোরকম শারীরিক ও মানসিক আঘাত ছাড়াই তারা বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে নভেম্বরেই এই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে খুব সহজেই এই বিলটি পাস হয়ে যাবে। তবে কয়েকজন সদস্যের দাবি, এটি পারিবারিক জীবনে হস্তক্ষেপ।
ফ্রান্সের দণ্ডবিধি অনুযায়ী শিশুদের প্রহার আগে থেকেই নিষিদ্ধ। তবে শিশুদের শাসনের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জন্য এর শিথিলতা ছিল। ফ্যান্সের শিশু ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৮৫ শতাংশ বাবা-মা শিশুদের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এর আগে অন্যান্য সরকারও এই আচরণ নিষিদ্ধের চেষ্টা করেছিল। তবে গত কয়েক বছরে এর প্রভাব বেশি ছিল। সর্বশেষ সংশোধনীতে আইন ভঙ্গকারী বাবা-মা’র কী শাস্তি হবে তা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
বিলটি উত্থাপনকারী পার্লামেন্ট সদস্য মড পেটিট বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য সমাজের পরিবর্তন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের ধারায় চলে আসবে ফ্রান্স।
২০১৫ সালে ইউরোপীয় কাউন্সিল ফ্রান্সকে বলেছিল তারা যেন অন্যান্য দেশের আইন অনুসরণ করে শিশুদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে। এক বছর পর জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিটিও শিশুদের সবরকম শাস্তির নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিল।
বাংলাট্রিবিউনট