শিশুদের নিরাপত্তার জন্য যা করবেন।
সম্প্রতি বেড়েছে নারী ও শিশু ধর্ষণ। সারাদেশে ঘটে যাচ্ছে অনেক বিকৃত–বীভৎস অপরাধ ঘটনা। ধর্ষণই শেষ না, হত্যাও করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাতে ঢাকার ওয়ারীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে অপরাধী গ্রেফতার বা বিচারই শেষ কথা নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আপনার মেয়ে শিশু কি নিরাপদ? মনে রাখবেন, আপনার শিশুর নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে।
বাংলাদেশে ধর্ষণের হাত থেকে শিশুদের রক্ষার জন্যে প্রাতিষ্ঠানিক তেমন কোন ব্যবস্থা নেই বলে মনে করছেন ঢাকায় জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহিরিন। খবর-বিবিসি।
তিনি বলেন, ধর্ষণ রোধ করে শিশুদের নিরাপদ রাখার জন্য যে ধরণের অবকাঠামো, লোকবল বা সেবা দরকার সেগুলো এখনো অনেক কম।
ঢাকার ওয়ারীতে গত শুক্রবার রাতে সাত বছরের এক শিশুর মরদেহ খুঁজে পাওয়ার পর পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার কথা জানায় পুলিশ।
জাহিরিনের মতে, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ করে কমিউনিটি লেভেলে যে ধরণে সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন আছে সেগুলো এখনো কার্যকর নয়।
আসুন জেনে নেই, শিশুদের ধর্ষণ থেকে রক্ষা করার জন্য কী করা উচিত?
ধর্ষণ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হলে কী করা উচিত, এ বিষয়ে শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহিরিন স্কুল পর্যায়ে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানোর পরামর্শ দেন।
১. কন্যা শিশুর পাশাপাশি ছেলেশিশুকেও ধর্ষণ ও যৌন হয়রানিবিরোধী মূল্যবোধ শেখাতে হবে। যেন বড় হয়ে ভবিষ্যতে সে এ ধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকে
২. বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘরে থাকার সময়ে যত্নশীল হতে হবে
৩. শিশুর সামান্য ক্ষতির হতে পারে এমন কোনো ব্যক্তির কাছে যেতে দেয়া যাবে না
৪. শিশুকে বাসায় একা রেখে কোথাও যাওয়া উচিত নয়
৫. ধর্ষণ রোধে মনিটরিং বা নজরদারি জোরদার করতে হবে
৬. একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
৭. এ ধরনের মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে শাস্তি হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে