বাংলাদেশের গুরুদাসপুরে ধর্ষণের পর শিক্ষিকাকে হত্যা

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মঞ্জু আরা খাতুনকে (৩২) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গোপীনাথপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে মঞ্জু উপজেলার এবং বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর গোপীনাথপুরে মা মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে মঞ্জু এক সন্তান নিয়ে থাকতেন। তার সন্তান স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে।
ঘটনার দিন জমিজমা নিয়ে কথা বলতে মনোয়ারা ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রাত ১০টার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির সময় মঞ্জু একা বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে এলাকবাসী। বাড়ির পাশের পুকুরে মঞ্জুর বিবস্ত্র লাশ পাওয়া যায়।
মনোয়ারা বেগম জানান, বৃষ্টির পর ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফিরে তিনি তার বাড়ির গেট খোলা দেখতে পান। বারান্দায় তিনি মেয়ের রক্ত মাখা কাপড় পড়ে থাকতে দেখেন।
এ সময় তিনি চিৎকার দেন। মেয়ের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষক হিসেবে মঞ্জু খুবই ভালো ছিলেন। কাজে কখনও ফাঁকি দিতেন না। তাকে মেরে ফেলার মতো কোনো কারণ তিনি জানেন না।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বলেন, মঞ্জুর শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। এতে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, তার মাথায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার চোখ ও পেটেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিবস্ত্র লাশ পাওয়ায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি বলেন, মঞ্জু হত্যার ঘটনায় তার সাবেক স্বামী মমিনুল হককে (৪০) আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।