প্রাণের ৭১

যে ঘৃনা ও প্রতিবাদে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের দেওয়া “নাইট” উপাধি ত্যাগ করেন।

জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালের এই দিনে (২৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন।

 

 

 

ব্রিটিশ সরকারকে ন্যায়বিচারের প্রতীক বলা হলেও ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডে যে বর্বরোচিত ও নির্মমতার পরিচয় দিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্ক হয়ে আছে।

 

ভারতবর্ষের বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশের জনগণ বরাবরই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। ১৩ এপ্রিল ওই দিনটি ছিল বৈশাখী দিন। অমৃতসর শহরের ছোট্ট একটি মাঠ। নাম জালিয়ানওয়ালাবাগ। চারদিক দেয়াল দিয়ে ঘেরা। কেউ গ্রাম থেকে এসেছিলেন বৈশাখ শুরুর উৎসব উপলক্ষে; কেউ এসেছিলেন ব্রিটিশদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ডাকা জনসভায় যোগ দিতে।

 

সমাবেশে আগে থেকে সতর্ক করে না দিয়ে, নিরস্ত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় বৃটিশ বাহিনী। ১০ মিনিটে ১৬৫০ রাউন্ড গুলিতে নিহত-আহত হয় হাজারো মানুষ।

জালিওলা হত্যাকাণ্ডের স্থানের ছবি। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে চরম ধিক্কার ও ঘৃণা বোধ থেকে রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড (স্যার টাইটেল) উপাধি ত্যাগ করেন। ভাইসরয় লর্ড চ্যামসফোর্ডকে লেখা চিঠিতে তিনি তার নাইটহুড প্রত্যাখ্যান করেন, যা কালের যাত্রায় প্রতিবাদ জানাবার এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে আছে।

তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*